Tuesday, September 02, 2008

আমার ছেলেবেলাঃ ডিলিটেড সীন - "হাসিনা তুই যা'গা..."

ফোর এর শুরুর দিকে বন্দর উপজেলা ক্যাম্পাসে নতুন সংযোজন হলো শ্যামলদের পরিবার। শ্যামল আমার বয়সী, একই স্কুলে, একই ক্লাসে ভর্তি হলো। তার ছোট বোন হাসিনা, বিএইচএমএইচ। হেমায়েত আংকেল, মোটাসোটা গড়নের গোলগাল সাইজ। কিন্তু আন্টি- উহুলালা! একেবারে সেইরম!

শিক্ষা অফিসার আংকেলের পরিবারের সঙ্গে শ্যামলদের খুব আন্তরিক সম্পর্ক হয়ে যায় খুব অল্প দিনেই। এই নিয়ে আমাদের পোলাপানদের মাঝে শ্যামলের অনুপস্থিতিতে নানা গুজব ভাসতে শুরু করে। টি.ও আংকেলের ছোট ছেলে খোকন ভাইয়ের (তৎকালীন এসেসসি পরীক্ষার্থী) সঙ্গে নাকি ছাদের চিলে কোঠার চিপায় অন্তরঙ্গ অবস্থায় উহুলালা আন্টিকে আবিষ্কার করে তৌফিকের চাচাতো বোন রুনী! সেই শুরু হয় উহুলালা আন্টিকে নিয়ে আমাদের পোলাপাইনের মাঝে তুমুল উত্তেজনা। কেমনে, আসলেই কেমনে কী!!

আমার এই লেখা অবশ্য সেই উহুলালা আন্টিকে কেন্দ্র করে না। পরের কোনো পর্ব আসলেও আসতে পারে, কইতার্তারিনা। শ্যামলের ছোট বোন হাসিনাকে নিয়েই ছোট্ট বেলার স্মৃতিটুকুর ঝাঁপি খুললাম এবার।

বিকাল হলেই আমরা নানান কিসিমের খেলা শুরু করি। একটা চিরাচরিত খেলা শুরু হয়ে সেটা বিবর্তিত হতে হতে কিম্ভূতকিমাকার রূপ ধারণ করে ফেলে আমাদের পাল্লায় পড়ে। রোজ রোজই আমরা নতুন খেলা আবিষ্কার করে সন্ধ্যা বেলায় বাসায় ফিরি। আমাদের বসয়ী মোটামুটি ৫-৭ জন শয়তানের পশ্চাৎদেশে রেগুলার ডাং মারে। সমবয়সী বা টেমাটোমা সাইজের কোনো বিপরীত লিঙ্গ না থাকায় মাঝে মাঝেই সব কেমন পানসে পানসে লাগে। শিমু আপা, যুঁথী কিংবা জেসমিন আপারা যখন সবাই মিলে খেলে তখন আমাদেরকে দুধ খাইয়ে ভাতের প্লেট হাতে ধরিয়ে সাইড লাইনের ঐপাশে বসিয়ে রাখে। বাধ্য হয়েই আমরা ক্রীড়াঙ্গণ ছেড়ে সারা উপজেলা চত্ত্বর ঘুরে বেড়াই। ডাব গাছের দিকে তাকিয়ে ভাবি, কবে যে আরেকটু বড় হবো! আর ঐ যে বললাম খেলার বিবর্তনকরণ, সেটা চলতে থাকে রেগুলারই। তো এরই মধ্যে যখন শ্যামলরা এলো, আমাদের আর পায় কে।

এখন আমরা ভুলেও বড়দের ঐদিকে যাই না। আমরা আমরাই খেলি। তৌহিদ, জুয়েল, শরীফ, তৌফিক, দিদার, আমি, শ্যামল এবং শ্যামলের ছোট বোন হাসিনা। খেলা যেরকমই হোক, হাসিনাকে সবাই মিনিমাম একবার করে জড়িয়ে ধরবেই। এটাই খেলার নিয়ম। এভাবেই চলে আমাদের প্রতিদিনের খেলা আবিষ্কার।

তৌহিদ ছিলো আমাদের মধ্যে সবচাইতে পোংটা। কী সব ফটুক ফাটুক দেখাতো তখনই। বোম্বের হট নায়িকার হাটু খোলা ফটুক দেখিয়ে আমাদের থেকে পয়সা আদায় করতো সে। হালায় একটা খাছড়া পাবলিক! তো যাই হোক, একদিন বিকেলে যথারীতি খেলা শুরু হলো। শুরুটা হয়েছিলো টিলোএক্সপ্রেস দিয়ে। সেটা বিবর্তিত হয়ে হয়ে গেলো বরফপানি। সবাই খালি হাসিনার পেছনে দৌড়ায়। এবার বরফপানি বিবর্তিত হলো লুকোচুরিতে। লুকানোর জায়গা হলো বিশাল বিশাল নারিকেল গাছ। সারা চত্ত্বরের সব গাছ ফাঁকা থাকলেও কেবল একটা গাছের পেছনেই বিশাল জ্যাম লেগে থাকে। কারণ ঐ একটাই। কারণ ঐখানে হাসিনা পলাইছে!

একবার এই ধারা পাল্টিয়ে শ্যামল তার বোনের পেছনে লাইন কমাতে নিজেই গিয়ে আগেভাগে দাড়িয়ে গেলো একটা নারকেল গাছের গোড়ায়। তারপর তৌফিক এবং তারপর পোংটা তৌহিদ। আমরা একে একে পেছনে। হঠাৎ খেয়াল করি পোংটা তৌহিদের নিম্নাংশ একবার সামনে যায় আবার পেছনে আসে। ঘটনা কী! ওর সামনে তৌফিক, একটু ভোম্বল কিসিমের, ও চিল্লায় "এই শালা করোস কী!", সবার সামনে থেকে শ্যামল চিল্লায়, "ঐ ব্যাটা নরোশ ক্যান, দেইখা ফেলবো তো!" এদিকে পোংটা তৌহিদ পুরোদমে সরলদোলকের মতো নড়াচড়া শুরু করেছে। শ্যামল যখন বুঝতে পারলো পেছন থেকে কী হচ্ছে হুড়ুৎ করে বের হয়ে সবার পেছনে সরে এসে সেও শুরু করলো পোংটা তৌহিদের মতো একটিভিটিজ। এভাবে একজন করে পিছলিয়ে বের হয় আর পেছনে এসে যোগ দেয়। ততোক্ষণে লুকোচরি খেলা বিবর্তিত হয়ে এই নতুন খেলার সৃষ্টি হয়েছে, কে কাকে পেছন থেকে ঠেলতে পারে!

এই ঘটনা হাসিনার চোখ এড়ালো না। ও ভাবলো বাহ্ বেশতো! ও নিজেও যোগ দিলো এই খেলায়। এইবার পোংটা তৌহিদ এই লাইন ছেড়ে হাসিনার পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে গেলো। আর এটা দেখে শ্যামল চিৎকার করে উঠলো, "হাসিনা তুই যা'গা, তোরে পুটকি মারবো!"

1 comment:

toxoid_toxaemia said...

আবারো পড়লাম ধুগোদা। আবারো হাসতেছি।