Monday, September 22, 2008

হাতির বাড়িতে গরীবের পা

বলাই'দা হঠাৎ অসময়ে মুঠোফোনে ফোন্দিলেন। এই লাইনখানা পড়ে সচলায়তনের পাঠকগণ যদি মনে করছেন আমি অচ্ছুৎ বলাইয়ের কথা বলছি তাহলে তাদের তরে আমি বলিষ্ঠ কণ্ঠে জানিয়ে দিতে চাই, "জ্বী হ্যাঁ জনাব। আপনি ঠিকই ধরেছেন!"

তো যা বলছিলাম। বলাই'দা ফোন্দিয়ে জানালেন তাঁর এক চাচাতো শালীর খোঁজ পাওয়া গেছে লতাপাতার সূত্রে। মিসেস বলাই আবার আমার লেখার বিশেষ ফ্যান বিধায় আমার এই দূর্ভাগা দূর্দশা দূর করতে নিজেই এগিয়ে এসেছেন। মাঝখানে বলাই'দা বারখানেক ট্যাঁওম্যাঁও করার চেষ্টা করেছিলেন বৈকি, কিন্তু ভাবী সাহেবার রক্তচক্ষু আর রান্না ঘরের কোণে বিশেষ যত্নে সংরক্ষিত চেলাকাঠটি অবলোকন করেই দমে গেলেন এবং আমাকে ফোন্দিলেন। তিনি জানালেন বাসার স্ক্যানার নষ্ট এবং ভাবী সাহেবা চাইছিলেন যেনো আমার হাতে হার্ডকপিটাই এসে পরে তাই হরকরা হিসেবে হিমুকে বেছে নিয়ে আমার কাছে বলাই'দার সেই লতাপাতায় জরানো চাচাতো শালীর ফটুক খানা প্রেরণ করেছেন। এইখানে পাঠক যদি মনে করেন আমি সচলের মোটারাম হিমু'র কথা বলছি তাহলে বলবো, জ্বী না জনাব, আপনার ধারণা আংশিক রঙ্গীন ও বাকীটা ভুল! এই হিমু আমার দোস্ত হিমু, যাকে দেখতে হলে প্রখর রৌদ্রের মাঝেও আপনাকে দেড় ব্যাটারীর টর্চ হাতে রাখতে হবে!

হরকরার জায়গায় হিমুর নামটা শুনেই আমার মনের দূর্দশার দরজা সমানে কড়া নাড়তে লাগলো। আমার উশখুশ ভাব লক্ষ্য করে বলাইদা হেতু জিজ্ঞেস করলেন। বললাম, 'বলাই'দা করছেন টা কী! আমি আমার নিজের বউরে দিয়া দোস্ত হিমুরে বিশ্বাস করতে পারি কিন্তু কারো শালী দিয়া না। ব্যাটা পুরা এলজিডি আমলা-মন্ত্রীদের মতো আমার জন্য পাঠানো ফটুকখানা আত্মসাৎ করে না দিলেই হয়!

শুনে বলাই'দা হাসলেন। বললেন, এই সাহস যাতে হিমু না পায় সেজন্য পাহারাদার হিসেবে বদ্দাকে সঙ্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি মুরুব্বী মানুষ, দেখেশুনে রাখবেন! বদ্দার কথা শুনে কিঞ্চিৎ ভরসা পেলাম বটে, কিন্তু মনের কুডাক ডাকা আর সরে না। নামের মাঝেই কেমন বদ-বদ একটা ব্যাপার আছে। বদ্দা যদিও বেসিক্যালী আপাদমস্তক ভদ্রলোক কিন্তু হিমুর পাল্লায় পড়ে কে যে কখন কী করে বসে বুঝা দায়! যদি দুইজনেই গোপন পরিকল্পনায় ফিফটি-ফিফটি শেয়ারে ফটুকটা হাপিশ করে দেয় তাইলে!

এরকম সাতপাঁচের প্যাচ নিয়ে ভাবতে ভাবতে উড়নচণ্ডীর বেশে গিয়ে হাজির হলাম স্টেশনে বলাই'দার জানানো সময়মতো। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো বদ্দাকে দেখে যতোটা ভালো লাগলো ঠিক ততোটাই পিলে চমকে উঠলো কুঁজো হয়ে রেলিং ধরে দাঁড়ানো বদমাশ হিমুটাকে দেখে। আমি বুঝে গেছি, ঘাপলা একটা হয়েছে। সেটা যে কী, এটাই এখন উদ্ধার করার পালা।

কাছে যেতেই হিমু হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিলো। দোস্ত তুই আমারে মার, আমারে কাট, কাইট্যা বুড়িগঙ্গায় ভাসায়া দে!
আমি বলি, অই শালা, এই বিঁভুইয়ে বুড়িগঙ্গা পামু কই! বি প্র্যাকটিক্যাল ম্যান।

হিমু টি-শার্টের কোণা তুলে চোখ মুছে বলে তাইলে রাইনেই ভাসায়া দে দোস্ত....!

বদ্দা এবার ধমক দিয়ে বলেন, মেয়ে মানুষের মতো ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করো ক্যান মিয়া? খুইলা কও যা হইছে!

হিমু শুরু করলো, বদ্দা বয়স্ক মানুষ।

বদ্দা, বেনী দোলান।

এতোদূর জার্নীর ধকল সইতে না পেরে মাঝপথে গেলো ঘুমায়া। এমন সময় আমাদের পাশের সীটে আসলো দুই হিস্পানিক তরুনী। উফ এক্কেরে সেইরম উহুলালা টাইপের...।

আমি বাগড়া দিলাম, "রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন। রোজার দিনে খারাপ কথা ুদাইবেন না জনাব!"- এগুলা বিটিভিতে দেখস নাই ব্যাটা?

হিমু নিজের ভুল বুঝতে পেরে জিভ কাটে, উপপস... এন্টশুলডিগুং।

আবার শুরু করে, তো হিস্পানিক তরুনীদের দেখে আমার সেইরম কিছু ইচ্ছা শুরু হইলো। টুকটাক হিস্পানিক জানি বিধায় হুইসস্পার করে তাদের কানের কাছে বলতেই তারা আমার হাত ধরে নিলো সখা ট্রেনের খালি কামড়ার দিকে।

বদ্দা কই? আমি উত্তেজিত।

হিমুর জবাব, তখনো ঘুমায়!

আমি বলি, গরমের আঁচ লাগে না?

হিমু বলে, মনেহয় না। কারণ রুশ দেশে মনেহয় বরফ পড়া শুরু হইয়া গেছে।

হিমু বয়ান করে চলে। খালি কামড়ায় নিয়ে আমাকে একজন জাপটে ধরলো। আমি মনের খুশীতে চোখ বুজে বগল বাজানো শুরু করলাম। বাকীজন আমার প্যান্টের পেছনের পকেটে যেখানে মানিব্যাগ আছে সেখানে হাতাহাতি শুরু করলো। আমি ব্যাপারটা উপভোগ করতে থাকলাম। উপভোগের চরমে পৌছে আমি যখন ইডেনের পেয়ারা গাছের দিকে হাত দিতে যাবো তখন খেয়াল করলাম কখন যেনো আমাকে দুই হিস্পানিক তরুনীই আলগা করে রেখেছে। মানে তাদের কোনো স্পর্শ পাচ্ছি না। ইডেনের সুখ ছেড়ে ঢুলুঢুলু চোখ খানিক মেলতেই টের পেলাম হিস্পানিক তরুনীদয় পালিয়েছে। সঙ্গে নিয়ে গেছে আমার সর্বস্ব... ইঁইঁইঁইঁ...

ধমক দিয়ে ফ্যাঁচ ফ্যাঁচানি কান্না থামালাম। ইতোমধ্যে বদ্দা হিমুর মাথা নিজের কাঁধে নিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে, থাক থাক আর কাইন্দ না। কাসেলে ফিরা গিয়া ফ্লোমার্কট থাইকা আরেকটা কিইন্যা দিমু নে!

আমি বুঝিনা কী কিনে দেবার কথা বলেন বদ্দা। জিজ্ঞেস করি, বলাই'দা যে বললো, সেই জিনিষ কই!

এবার বদ্দা ক্ষেপে গেলেন আমার সঙ্গে। তুমি বাড়া বাংলা বুঝনা? পোলাটা কানতাছে কি হুদাহুদিই?

ধমক খেয়ে চুপসে গেলাম। কিন্তু মাথায় তখনো ঢুকছেনা, বলাইদার লতাপাতা চাচাতো শালীর ফটুকের সঙ্গে হিস্পানিক তরুনীর পালিয়ে যাওয়ার সম্পর্কটা কোথায়! হিমুই বা কাঁদে ক্যান? আর কথা বাড়ালাম না। বদ্দার ঝারি যারা খান নাই তারা বুঝবেন না কেনো আর কথা বাড়াই নাই!

স্টেশন থেকে বের হয়ে বাসস্টপের দিকে যেতেই হিমু হঠাৎ বজ্রাহতের মতো ঠাঁয় হয়ে গেলো! বদ্দাও। কোনো এক কালের লিজেন্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সাক্ষাতের ধকল তারা সইতে পারবেন কেনো? বাংলাদেশের এযাবৎকালের সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর শ্বেতপাথরের নাম ফলকে এই লিজেন্ডের নাম প্রথম পাঁচ নম্বরে জ্বলজ্বল করে। মহাকামেল ব্যক্তি!

দেরী হলেই এই কামেলের কামিলতি দেখতে হতে পারে এই ভেবে সামনে দাঁড়ানো বাসে চড়ে বসি তিনজনেই। গন্তব্য অজানা। এই অজানা গন্তব্যে পৌঁছে দেখা মিললো লিটন ভাইয়ের। লিটন ভাই ব্যস্ত মানুষ, তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলেন কিছুক্ষণের মাঝেই। যাওয়ার আগে অবশ্য আলাভোলা লিটন ভাইকে ধরে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে অমিয় সূধা পান করিয়ে ফেললো হিমু। বেচারা লিটন ভাই ঐ অবস্থাতেই পগারপাড় হলেন!

তার পরের ঘটনা সংক্ষিপ্ত ও বর্ণনামুক্ত। আমাকে দিয়ে বিখ্যাত খিচুড়ি রান্না করিয়ে নিজের উদরপূর্তি করে ফিরতি ট্রেনে চেপে বসলো দোস্ত হিমু। ট্রেনে তুলে দেবার আগে যেইনা ফটুকের কথা তুলতে যাবো অমনি আবার কান্না শুরু হয়ে গেলো বেচারার। এই দেখে বদ্দা তেড়ে এলেন। কিছু বলার আগে আমি নিজেই বলে ফেললাম, "আমি বাড়া বাংলাও বুঝিনা!" :(

ট্রেন ছেড়ে দিলো। আমি একাকী স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসলাম। মনের কোণ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে গেলো, "ইশ, আর এই ইট্টুনির লাইগ্যা...!"

Friday, September 19, 2008

অপেক্ষা

ফুচুৎ করে লাইটার জ্বেলে অগ্নিতাহুতি করি সিগ্রেটের মুখে। এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি সেটা ঠিক কোন স্থান, কাল বা অবস্থান, বুঝে উঠতে পারি না। কীসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি সেটাও বোধের এ্যান্টেনায় ধরা পড়ে না। বাঁ হাতের কব্জি কানের মুখে নিয়ে টের পাই টিকটিক শব্দের সঞ্চালন। মহাকালের স্রোত। মনে পড়ে রুবী রায়, দুপুরের রোদে, বাস থেকে নেমেই একাকী কোনো কিশোর। কিংবা কফি হাউজের সেই সাতটা খালি চেয়ার কানের কাছে সযতনে ফিসফিস করে। ঠান্ডাটা জমে উঠছে। উঠুক না। গনগনে সূর্যটা জমে বরফের চাঁই হয়ে যাক। ধানের আস্ত তুঁষ সরিয়ে সেই বরফ কেটে ইফতারীর আগে কাগজি লেবু কচলে শরবত বানাতে চাইলে কেউ বানাক। পরনের লুঙ্গির গিঁঠ খুলে মেদালু ভুঁড়িতে সেটা পুনরায় জড়িয়ে নিতে নিতে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা আংশিক ছোলা ইত্যাদি জিভ দিয়ে খুঁচিয়ে বের করে 'থুঁ-তু' করে ফেলে দিয়ে নেমে আসুক সফদর আলীরা মসজিদের বারান্দা থেকে। ঢাকের ধমাধম শব্দে উলুধ্বনিতে কেঁপে উঠুক মা দূর্গার প্রতিমা। রবিবার বিকেলে ঢংঢং বেজে উঠুক সেন্ট্রাল চার্চের বিশাল ঘন্টা, গেয়ে উঠুক একদল সূক্ষ্ন তরুণ কণ্ঠ, "আমি প্রভুরও দাসী"। গাছের পাতা সব ঝরে যাক, সাদা চাদরে মুড়ে যাক চারদিক। শুরু হোক রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে-অন্তরীক্ষে লাল আলখাল্লা-ঝুটি টুপি আর শুভ্র শশ্রুর আনাগোণা। অথবা স্থানীয় তাঁতের পাতলা চাদরে মোড়া কারও দৃষ্টি আকর্ষনী চেষ্টা, "বা-জান, দুইটা টেকা সাহাইয্য দিবেন!"
নিশ্চুপ, ঠাঁয় দাঁড়ানো আমি। নিস্তব্ধ চারিদিক, এইবেলা। অপেক্ষায় আছি, বা রেখেছি, নিজেকেই...

Tuesday, September 02, 2008

আমার ছেলেবেলাঃ ডিলিটেড সীন - "হাসিনা তুই যা'গা..."

ফোর এর শুরুর দিকে বন্দর উপজেলা ক্যাম্পাসে নতুন সংযোজন হলো শ্যামলদের পরিবার। শ্যামল আমার বয়সী, একই স্কুলে, একই ক্লাসে ভর্তি হলো। তার ছোট বোন হাসিনা, বিএইচএমএইচ। হেমায়েত আংকেল, মোটাসোটা গড়নের গোলগাল সাইজ। কিন্তু আন্টি- উহুলালা! একেবারে সেইরম!

শিক্ষা অফিসার আংকেলের পরিবারের সঙ্গে শ্যামলদের খুব আন্তরিক সম্পর্ক হয়ে যায় খুব অল্প দিনেই। এই নিয়ে আমাদের পোলাপানদের মাঝে শ্যামলের অনুপস্থিতিতে নানা গুজব ভাসতে শুরু করে। টি.ও আংকেলের ছোট ছেলে খোকন ভাইয়ের (তৎকালীন এসেসসি পরীক্ষার্থী) সঙ্গে নাকি ছাদের চিলে কোঠার চিপায় অন্তরঙ্গ অবস্থায় উহুলালা আন্টিকে আবিষ্কার করে তৌফিকের চাচাতো বোন রুনী! সেই শুরু হয় উহুলালা আন্টিকে নিয়ে আমাদের পোলাপাইনের মাঝে তুমুল উত্তেজনা। কেমনে, আসলেই কেমনে কী!!

আমার এই লেখা অবশ্য সেই উহুলালা আন্টিকে কেন্দ্র করে না। পরের কোনো পর্ব আসলেও আসতে পারে, কইতার্তারিনা। শ্যামলের ছোট বোন হাসিনাকে নিয়েই ছোট্ট বেলার স্মৃতিটুকুর ঝাঁপি খুললাম এবার।

বিকাল হলেই আমরা নানান কিসিমের খেলা শুরু করি। একটা চিরাচরিত খেলা শুরু হয়ে সেটা বিবর্তিত হতে হতে কিম্ভূতকিমাকার রূপ ধারণ করে ফেলে আমাদের পাল্লায় পড়ে। রোজ রোজই আমরা নতুন খেলা আবিষ্কার করে সন্ধ্যা বেলায় বাসায় ফিরি। আমাদের বসয়ী মোটামুটি ৫-৭ জন শয়তানের পশ্চাৎদেশে রেগুলার ডাং মারে। সমবয়সী বা টেমাটোমা সাইজের কোনো বিপরীত লিঙ্গ না থাকায় মাঝে মাঝেই সব কেমন পানসে পানসে লাগে। শিমু আপা, যুঁথী কিংবা জেসমিন আপারা যখন সবাই মিলে খেলে তখন আমাদেরকে দুধ খাইয়ে ভাতের প্লেট হাতে ধরিয়ে সাইড লাইনের ঐপাশে বসিয়ে রাখে। বাধ্য হয়েই আমরা ক্রীড়াঙ্গণ ছেড়ে সারা উপজেলা চত্ত্বর ঘুরে বেড়াই। ডাব গাছের দিকে তাকিয়ে ভাবি, কবে যে আরেকটু বড় হবো! আর ঐ যে বললাম খেলার বিবর্তনকরণ, সেটা চলতে থাকে রেগুলারই। তো এরই মধ্যে যখন শ্যামলরা এলো, আমাদের আর পায় কে।

এখন আমরা ভুলেও বড়দের ঐদিকে যাই না। আমরা আমরাই খেলি। তৌহিদ, জুয়েল, শরীফ, তৌফিক, দিদার, আমি, শ্যামল এবং শ্যামলের ছোট বোন হাসিনা। খেলা যেরকমই হোক, হাসিনাকে সবাই মিনিমাম একবার করে জড়িয়ে ধরবেই। এটাই খেলার নিয়ম। এভাবেই চলে আমাদের প্রতিদিনের খেলা আবিষ্কার।

তৌহিদ ছিলো আমাদের মধ্যে সবচাইতে পোংটা। কী সব ফটুক ফাটুক দেখাতো তখনই। বোম্বের হট নায়িকার হাটু খোলা ফটুক দেখিয়ে আমাদের থেকে পয়সা আদায় করতো সে। হালায় একটা খাছড়া পাবলিক! তো যাই হোক, একদিন বিকেলে যথারীতি খেলা শুরু হলো। শুরুটা হয়েছিলো টিলোএক্সপ্রেস দিয়ে। সেটা বিবর্তিত হয়ে হয়ে গেলো বরফপানি। সবাই খালি হাসিনার পেছনে দৌড়ায়। এবার বরফপানি বিবর্তিত হলো লুকোচুরিতে। লুকানোর জায়গা হলো বিশাল বিশাল নারিকেল গাছ। সারা চত্ত্বরের সব গাছ ফাঁকা থাকলেও কেবল একটা গাছের পেছনেই বিশাল জ্যাম লেগে থাকে। কারণ ঐ একটাই। কারণ ঐখানে হাসিনা পলাইছে!

একবার এই ধারা পাল্টিয়ে শ্যামল তার বোনের পেছনে লাইন কমাতে নিজেই গিয়ে আগেভাগে দাড়িয়ে গেলো একটা নারকেল গাছের গোড়ায়। তারপর তৌফিক এবং তারপর পোংটা তৌহিদ। আমরা একে একে পেছনে। হঠাৎ খেয়াল করি পোংটা তৌহিদের নিম্নাংশ একবার সামনে যায় আবার পেছনে আসে। ঘটনা কী! ওর সামনে তৌফিক, একটু ভোম্বল কিসিমের, ও চিল্লায় "এই শালা করোস কী!", সবার সামনে থেকে শ্যামল চিল্লায়, "ঐ ব্যাটা নরোশ ক্যান, দেইখা ফেলবো তো!" এদিকে পোংটা তৌহিদ পুরোদমে সরলদোলকের মতো নড়াচড়া শুরু করেছে। শ্যামল যখন বুঝতে পারলো পেছন থেকে কী হচ্ছে হুড়ুৎ করে বের হয়ে সবার পেছনে সরে এসে সেও শুরু করলো পোংটা তৌহিদের মতো একটিভিটিজ। এভাবে একজন করে পিছলিয়ে বের হয় আর পেছনে এসে যোগ দেয়। ততোক্ষণে লুকোচরি খেলা বিবর্তিত হয়ে এই নতুন খেলার সৃষ্টি হয়েছে, কে কাকে পেছন থেকে ঠেলতে পারে!

এই ঘটনা হাসিনার চোখ এড়ালো না। ও ভাবলো বাহ্ বেশতো! ও নিজেও যোগ দিলো এই খেলায়। এইবার পোংটা তৌহিদ এই লাইন ছেড়ে হাসিনার পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে গেলো। আর এটা দেখে শ্যামল চিৎকার করে উঠলো, "হাসিনা তুই যা'গা, তোরে পুটকি মারবো!"