Sunday, August 20, 2006

দ্যা স্ট্রেইট স্টোরী....

জার্মানীতে আমার প্রথম দিককার কথা।

পশ্চিমা জীবনযাত্রার সাথে অভ্যস্ত হলেও ভাষাগত কারণে খানিকটা সময় নিতে হচ্ছে পারিপাশ্বিêকতার সাথে ধাতস্থঃ হতে।

এমনি সময়ে, কোন এক ঠান্ডা রাতে টেলিভিশনের স্টেশন ঘুরাতে গিয়ে এক জায়গায় আটকে গেলো চোখজোড়া। একটা সিনেমা চলছে, “দ্যা স্ট্রেইট স্টোরী“।

ক্যামেরার অদ্ভুত সুন্দর কাজ আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যপটে ভরপুর সিনেমার জার্মান ডায়ালগ গুলো না বুঝলেও মজে গেলাম তাতে।

সিনেমাটার গল্প রচিত হয়েছে অলভিন স্ট্রেইট নামক জনৈক ভদ্রলোকের সত্যিকার জীবন কাহিনীকে কেন্দ্রকরে। মুগ্ধতার আবেশ জড়ানো সিনেমাটার প্রধান চরিত্র অলভিন স্ট্রেইট আত্ম-অহংকারী এক ব্যক্তিত্ব। দশ বছর সময় ধরে নিজের ছোট ভাই লাইল-এর সাথে কোন যোগাযোগ নেই আত্মাভিমানের কারণে। কিন্ত যখন ছোট ভাই কল করে তার স্ট্রোক-এর খবর জানালো তখন সব অহংকার ভুলে গিয়ে ভাইকে দেখতে যাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে অলভিন স্ট্রেইট।

অলভিন স্ট্রেইট যেখানে থাকে সেই আইওয়া, লরেন্স থেকে ছোট ভাই লাইল-এর বসত উইসকনজিন, মাউন্ট জায়ান প্রায় ৩০০ মাইল দূর। ৭৩ বছর বয়সী অলভিন কারো থেকে রাইড নেবে না আত্মসম্মানে হেঁাচট লাগবে বলে। দৃষ্টিশক্তির অপর্যাপ্ততার দরুণ ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায় তঁার, কোমরের সমস্যার কারণে হঁাটার সময় দুহাতে কেইন ব্যবহার করতে হয় পায়ে উপযুক্ত জোড় (enough strength) পায়না বলে।

এই অবস্থায় ঘন্টায় পঁাচ মাইল দ্রুতির নিজের 1966 John Deere লন-মাওয়ারটা বেছে নেয় অলভিন। দীর্ঘ পথের ধীর ভ্রমনে অলভিন স্ট্রেইটের মোকাবেলা হয় হরেক রকম মানুষ আর পরিস্থিতির সাথে, ঘটে কিছু ঘটনা যা কিনা গেঁথে যায় হÕদয়ের ভেতরে।

ব্রাদারহুডের অপূর্ব মহীমায় চিত্রিত সিনেমাটির অলভিন স্ট্রেইট চরিত্রে নিজেকে আরেকবার প্রমান করেছেন “স্পার্টাকাস মিজারী“ খ্যাত রিচার্ড ফার্ণসওয়ার্থ।