Saturday, May 13, 2006

প্রাপ্তি-র জন্যে প্রার্থনা... প্রার্থনা এবং প্রাপ্তি... অশ্রুসজল একজনের আবেদন

প্রাপ্তি, একটা নাম, একটা ফুটফুটে বাচ্চা, যাকে দেখলেই আদর করতে ইচ্ছে করে। জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নিতে প্রবল সাধ জাগে মনে। কি সুন্দর, কি মায়াভরা একটা মুখ!

“মানুষের নিজের শরীরের বাইরে যদি হৃতপিন্ড কোথাও ধুক ধুক করে সেটা সন্তানের শরীর“ - এরকম একটা কথা প্রচলিত আছে। মায়াময়ী প্রাপ্তির শরীরেও তো কারো হৃতপিন্ড ধুক ধুক করছে। অসীম মমতায় কাছে টেনে ধরে আছে বাবা-মাকে।

প্রাপ্তি যে কিনা হঁাটতে শিখেই বুঝতে পারলো এই পৃথিবীতে তার দিন গুলো শেষ হয়ে আসছে, নিভে যাচ্ছে চোখের সামনের আলোগুলো এক এক করে। এই প্রাপ্তি, যে কিনা কেবল নিজের বাবা-মায়ের হৃতপিন্ড নিয়েই মৃত্যুর সাথে লড়ে যাচ্ছে না, বরং এই পৃথিবীর বিভিন্ন কোনের হাজারো মানুষের চেতনায় নিজেকে আসীন করতে পেরেছে।

যদি তাই না হবে, তাহলে কেনো ঘুমের মধ্যে মায়াভরা মুখটা নিয়ে হাজির হবে, কেনো বলবে, “আমি যদি তোমার তনয়া হতাম, আংকেল“, কেনইবা তার জন্যে চোখের কোন ভিজে উঠবে, কেন নিজের জীবনের বিনিময়ে তার সুন্দর হাসিটুকু কমনা করা হবে... কেনো?

আমরা কি করতে পারবো তার হিসেব না করে বরং চিন্তা করি, “কি করা লাগবে“। তার চিকিতসার জন্যে, এতো মায়াময় হাসিটা পৃথিবীতে ধরে রাখতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই, যা আমরা যোগাতে পারবো না।

“আমরা কেউ ছোট নই, সকলেই বড় মানুষ,সকলেই এক সাথে বড় মানুষ আমরা“ - আমার চোখে খুব বড় মাপের মানুষ এই কথাটা বল্লেন। আসলেই তো, আমরা কি সম,িলিতভাবে পারবোনা, প্রাপ্তির প্রাপ্ত অধিকার টুকু ফিরিয়ে দিতে !

Wednesday, May 10, 2006

একলা রাতের, অজানা পথের পথিক.......

মাঝে মাঝে মাথায় ঝেঁকে বসে সিন্দাবাদের ভ্রমন প্রিয় ভূত। কালকে রাতে হঠাত কি মনে করে বেরিয়ে পড়লাম। একটুবৃষ্টি হয়েছিলো, তার পরশে সব ধোয়া, তকতক, রাস্তা খানিক ভেজা ভেজা, কোন মানুষজন নেই... থেকে থেকে দুয়েকটা গাড়ি চলে যাচ্ছে.... ভোঁ... ছুরুত করে জমে থাকা পানি ছিঁটিয়ে।

এই রাস্তায় আমি কখনো হঁাটিনি। দরকার পড়েনি ইনফ্যাক্ট। কালকেও হয়তো হঁাটা হতো না। সিন্দাবাদের ভূতের কারণে ঘুরতে বেরিয়ে বাস, ট্রাম সব মিস। নাইট বাস কখন, কোত্থেকে ছাড়বে জানি না। যেখান থেকে ফিরছি, জায়গাটা আমার খুব পরিচিত না যে!

হাঁটতে লাগলাম অপরিচিত জায়গার অপরিচিত সেই রাস্তা ধরে। রাস্তার ধারে নাম জানি না এমন কিছু গাছ আর খুব সুন্দর করে কাটা ঘাসের মধ্য দিয়ে পায়েহঁাটা পথ।

রাস্তার ধারের সোডিয়াম সদৃশ বাতির মিডিয়াম আলোতে এক আলো-অঁাধারীর অপূর্ব অদ্ভুত মিশ্রন.....। আমি হেঁটে যাচ্ছি, যাচ্ছি অজানার উদ্দেশ্যে.... যাচ্ছি... যাচ্ছি ... যাচ্ছি

মাথার ভেতরে কেউ একজন কথা বলে যাচ্ছে, ঠিক কথা না, ঝগড়া। আবার ঝগড়াও না.... কী যেনো, বুঝতে পারি না। কিন্ত বলেই যাচ্ছে নিরন্তর, অনন্ত, অনবরত, সীমাহীন, বস্তাপঁচা কিছু কথা....আমিও তাল দিয়ে যাচ্ছি সমান তালে...।