Friday, July 25, 2008

গুরুচন্ডালী - ০০৮

নেট এর যন্ত্রণা নাকি উইন্ডোজ বিশ্ঠার ভারে আমার কম্পুখানাই গেছে, সেইটা এখনো ধরতে পারতেছি না। কোনো এক পেজে টিবি দিয়া এক পশলা ঘুমের শট মাইরা উইঠা আবার দ্বিতীয় টিবি দেই। এমনেই চলতাছে, চলবো কতোদিন সেইটাও বুঝতে পারতাছি না।

কালকে রাতে তাইরে নাইরে নাই করে ঘরে ফিরে এমএসএনে লগ ইন করছি ব্যাক এন্ডে। ফ্রন্ট এন্ডে চিন্তা করতেছিলাম নানান গ্যাড়াকলে পইড়া অনেকদিন ছাই-ভষ্ম কিছু লেখা হইতেছে না। কী লেখা যায় এই নিয়া যখন ভাবতেছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তে ব্লগার্টুনিস্ট সুজন্দা দিলো টোকা। কয়, 'সচলায়তনের ব্যানরে ঐ ব্যাটা এমনে হা কইরা রইছে ক্যান'!

সুজন্দার ঐ কথা শুইনা উড়মান আমি পড়লাম টুক্কুশ কইরা মাটিতে পইড়ে গেলাম। "কন কী দাদা, আপনে বানান নাই তাইলে! চামে চামে দিলাম আমার দোস্তের ঘাড়ে দোষ চাপাইয়া। এই ব্যাটাই নিশ্চই বানাইছে খামখাম টাইপের এই মুখ!"

শুনে সুজন্দা বলে, টু মুখপোড়াস আর বেইকিং পটেটো হোয়াইল সচলায়তন ইজ অন ফায়ার- এইটা ট্রান্সলেশন করতে! পরীক্ষায় কমন পড়ার খুশিতে জাম্প দিয়া মাটিতে নাইমা আসি। তখন আবার দেখি আড্ডাবাজ খোঁচায়। আমি কই, দাদা কোবতে লেখি! বলে শোনাও। শোনাইলাম। সুজন্দা বলে, বাকীটা কই? আমি কই লেখতাছি। কয় লেইখা ব্লগে দিয়া দ্যাও। আমি কই, জো আজ্ঞা!

তো সেই থাইকাই নিদারুণ চেষ্টা করতেছি আমার কোবতেখানা জনগণের সমীপে প্রকাশ করার। কিন্তু পরে খেয়াল হইলো পান্ডুলিপি তো নাই আমার, ব্লগে দিমু ক্যামনে! তখন খিয়াল হইলো, হিমু প্রমুখ দূর্মুখেরা আমাদের কান ঝালাপালা করে নানান পদের গান অডিও করে খাওয়ায়। আমি কেনো আমার কোবতেকে নয়াস্টাইলে ভিডিও আকারে উপস্থাপন করবো না!

ইউটিউবের হাতে পায়ে ধইরা ৩১ মেগার ভিডিও খানা আপলোডাইলাম ঠিকই মাগার দেখতে আমি নিজেই পাই না। ক্যান পাইনা সেই গল্পই প্রথমে করতেছিলাম। চাক্কা ঘুরে তো ঘুরেই। (কোনো সুহৃদয় ব্যক্তি বিশাল ফাইলরে পুচকী বানায়া ইউটিউবে দেওয়া পন্থা জানাইলে বাধিত হইতাম!) ইস্নিপসে তুলতে গেলাম, কয় সন্দিহান ব্যাপার স্যাপার। আমার নিজের কম্পুতে করা ভিডিও ক্যামনে সন্দিহান হয়, বুঝলাম না!

দেখতে পারা যাক আর না যাক ভিডিওখান শেয়ার করলাম আপনাদের সঙ্গে। যেহেতু কোবতেখান আমি ল্যাখছি, তাই জগদ্বিখ্যাত হওয়ার চান্স অনেক বেশি। কেউ অটোগ্রাফ নিতে চাইলে এখনই চাইতে পারেন। পরে আমি বিখ্যাত হইয়া গেলে কৈলাম আর চান্স পাইবেন না, এই আমি কয়ে দিনু!

Wednesday, July 02, 2008

গরমের কিচ্ছা

গরমে জান খান্দান!

২০০৬ এর পরে এই প্রথম আউলাটক্কর গরম পড়ছে। গরম কি গরম, যেমন তেমন গরম? পরনের কাপড় খুলে ম্যারাথন না হলেও ৪০০ মিটার রীলে দৌড় দিতে মন করতেছে।

এজ ইয়্যুজুয়াল তাড়াহুড়ায় হাতের কাছে পাওয়া টি-শার্টটা পরেই বেরিয়ে গেছি ঘর থেকে। এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীর অষ্টমাভুলের একটা হয়েছে এইটা, সিনথেটিকের টি-শার্ট পরাটা। মনে হচ্ছে পিঠের সাথেই চুল্লিতে কিছু একটা তন্দুরীর ন্যায় ভাজা হচ্ছে, কাঁধে জ্বলন্ত কয়লার একটা বিশাল বস্তা নিয়ে হাঁটছি! এই অবস্থায় মাথামুথা ঠিক রাখা দায়। হঠাৎ চরম ইচ্ছা হতে লাগলো টি-শার্টটা ঘড়াৎ করে খুলে ফেলি। নিচে স্যান্ডো আছে, সমস্যা না। আবার ভাবলাম, টি-শার্ট খুললে তো খালি স্যান্ডোটা ছাড়া আর কিছুই দেখা যাবে না। অবশ্য কঙ্কালের অবয়বটা বুঝা গেলেও যেতে পারে।

মনটা শান্ত হলো দেশের কথা চিন্তা করে। দেশেতো এর চাইতেও পাগলাগরম। সেখানে মানুষ নিশ্চই আর বস্ত্রহীন হয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের প্রস্তুতি নিচ্ছে না! এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে দেখলাম আমার মোটা মাথায়ও ভালো একটা জিনিষ খেললো। এই যে এই অসহ্য গরম লাগা, কম তাপমাত্রায়ও বস্ত্রহীন হয়ে পড়ার আকাংখা, এর পেছনে আসলে কারণ কী! কারণ আর কিছুই না, "ললনা"।

স্কুলে, গরমের দিনে ক্লাস করাটা বিরাট আজাবীয় মনে হতো। একেতো কো-এড ক্লাসে পোলাপাইনের ঘাপলাঘাপলি তারউপর নাই কোনো বাতাসদানযন্ত্র, আর বাইরে চলতো চৈত্রের চুড়ান্ত তাপদাহ। তো এমন একদিন ক্লাসে কী নিয়ে কথা হচ্ছে হঠাৎ এক ছেলে বলে উঠলো স্যার গরম লাগে কারণ মেয়েরা কথা বলে বেশি। স্যার বলেন, বেশি কথা বলার সাথে গরমের কী সম্পর্করে? পোলা কয়, স্যার মেয়েরা কথা কয় আর তাদের পেটের ভেতর থেকে ভুকভুক করে গরম বাতাস বের হতে থাকে। সেই গরম বাতাসই ক্লাস গরম করে ফেলে!

এখানকার মেয়েরা আরেক কাঠি সরেস। কথা বলার ইচ্ছার পাশাপাশি তাদের বস্ত্রের সংকুলানের তীব্রতাও প্রবল। একেতো গরমে চান্দি ফাটে তার উপর চোখের সামনে দিয়া ফুলচন্দন মার্কা স্বল্পবসনা ললনারা ইয়ে দুলিয়ে হেঁটে গেলে কার আর শীতল লাগে!

আশার কথা হলো, এই রিপোর্ট লেখার সময় আকাশ কালো করেছে কিঞ্চিৎ। মৃদুমন্দ সমীরণ না হলেও মোটামুটি দমকা স্টাইলেই হাওয়া দিচ্ছে। গাত্রউদোম করা এই গরমে আপাতত স্বস্তির খবর এটাই!