Friday, July 28, 2006

“ছালা, গালি কী গাছে ধরে.....“

শঁাখারী বাজারের কোন এক গলি। একটা স্বর্ণকারের দোকানের সামনে খাড়ায়া আছি। হালার গেছি দূর্গা পঁূজার দাওয়াত রক্ষা করতে। আমার ইমিডিয়েট বস, তারপর আবার বড়ই সেনেহ করেণ, না গিয়া থাহি ক্যামনে?

শাপলার মোড় থেইক্যা রিáা লমু চিন্তা করছি। কোন রিক্সাওয়ালাই যাইবো না। মেজাজ টা গেলো বিলা হইয়া।

আগাইতে আগাইতে ইত্তেফাকের মোড়। এক চান্দুরে পাইলাম। বড়ই রসিক মনে কইলো। মাথায় তেল চুপচুপ করে। মাঝখান দিয়া সিঁথি করা।

: অই মামু যাইবেন ওয়ারী?

: হ যামু। মাগার ওয়ারী কোন্ডে নামবেন?

অহন ডিরেকশন দেই ক্যামনে? অর মাথাডাই বাইছ্যা লইলাম। মাথার চুল ধইরা আগাইতে আগাইতে নাক পর্যন্ত নাইমা কইলাম। এইহানে যামু....। লগের জন হাসে, “আপনে পারেণ ও ভাই...“।

লইয়া গেলো। রাস্তায় প্রবীর দাদার বারকয়েক ফোন, অই মিয়া আইতাছ তো?

গিয়া হুনি ’মা’রে নিয়া নাকি লোকজন রওনা দিয়া দিছে। দাদা আমাগো লাইগা যায় নাই। লগে লগে কইলাম লন দেহি দাদা, মা’রে বিসর্জন দিয়া আহি। দাদা অবাক, কয় কী হালায়? মুসলমানের পোলা হইয়া যাইবো মা’রে বিসর্জন দিতে?

দৌড় লাগাইলাম শঁাখারী বাজারের দিকে। রাস্তায় গিয়াই দেখা মিল্লো তাগো বিসর্জন যাত্রার। গিয়া দেহি আরো অনেকরেই চিনি। পোলাপাইন কয়, কি কর মিয়া এইহানে? কথা না বাড়াইয়া কই দেও দেহি কান্ধে লই।

শঁাখারী বাজারের এদিকে গিয়াই দেহি বিশাল জ্যাম। টেরাক টোরাক লইয়া লোকজন রওনা করছে পুরাণ ঢাকার চিপা গল্লি দিয়া। লোকজন সব খাড়াইয়া গ্যাছে আগাইতে না পাইর‌্যা। আমি আরো ৩ জন রাস্তার পাশে একটা স্বর্ণের দোকানের সামনে খাড়াইয়া রইছি, কাঠামের লাহান। হঠাত আমার চোখ পড়লো উপরে।

বড়ই সৌন্দর্য। উপর থাইকাও দেহি টাংকী ভালোই চলতাছে। সমানে চালাইলাম... সাপোর্টিং ও আছিলো ভালোই। এর মাঝে স্বর্ণের দোকান থাইক্যা এক চাচা মিয়া আইসা কয়, “এইহানে খাড়াইয়া কী করেণ? মা’র গাড়ি ধইরা না গিয়া খাড়াইবেন।“ যতোই বুঝাই আমরা ভালা পোলা, টাংকী কী জিনিষ চিনি ই না, হালার বুইড়া হুনলোই না। দিলো খেদাইয়া।

মনের দুঃখে আইয়া রাস্তায় খাড়াইলাম আবার। এদিকে চলতাছে যা চলোনের। হালার বুইরা অহন কী কইবা? - - এই পর্যন্ত ঠিক ই আছিলো, বাস্তব উপাখ্যান।

আজিব কারবার, দেখি মাইয়াডা নাইমা আইতাছে, আমার রক্ত হীম হওয়া ধরছে। দূরে থাইক্যা বহুত কিছুই করণ যায় মাগার সামনে আইলে সিংহের ও বুক কঁাপে পয়লা পরথম। তাই হইতাছিল আমার। ঠিক করতাছি কী করুম, কী কমু না কমু, কোন জায়গায় পয়লা ডেট টা হইবো এইসব....।

হঠাত ই আমার বেসুরা ফোনটা ক্যান ক্যান কইরা সুমধুর স্বরে চেঁচাইয়া উঠলো। দপ্তরের কাম বাড়িতে বইয়া করতে গিয়া ঘুমাইছি ই ঘন্টা খানেক হয়। এই নিশী রাইতে আবার কেডা জ্বালাইতে ফোন করলো?

হাত বাড়াইয়া, চোখ বুইনজাই ধরলাম। “হ্যালো...“কোন কথা নাই, দি্বতীয় বার হ্যালো, হের পর কথা হুনলাম। অপরিচিত না। ভাবলাম কেউ হয়তো শয়তানী করতাছে। উত্তর আইলো, “আছেন ক্যামন, কী স্বপ্ন দেখতাছিলেন !“ আমি কই হালার খাজুরা আলাপের আর টাইম পাওনা, আছি ক্যামন!

ক্যাডা আপণে?
:আমি? আমি শোধ নেবার লাইগ্যা ফোন করলাম।

আমি চিন্তা কইর‌্যা পাইতাছি না কার বারা ভাতে ছাই দিছি আমি যে শোধ নিতে এই রাইত বিরাইতে আমার এতো সুন্দর স্বপ্নের চৌদ্দটা বাজায়া দিলো। একবার পাইলে হইতো, বুঝাইতাম মজা কারে কয়। অহনো ধরবার পারতাছি না ক্যাঠা।

অই পাশ থাইকা কয়, হোনেন, আপনের ঘুম ভাংছে না? এইবার রাইখা দেই!

আমি কইলাম মিয়া অহনো যে গাইল পারি নাই আপনের কপাল ভালা। হুইন্না দেহি ব্যাটা খুশী ই হইলো। কয় দ্যান দেহি কয়েকটা গালি।

আমি তো পুরা ফঁাপড়ে। হারা জীবন মাইনষেরে আমি ভড়কাইয়া গেলাম আর আইজকা দি্বতীয় বারের মতো নিজেই ভড়কাইয়া গেলাম?

গালি তো দিবার পারলাম না। মাগার মনে মনে ঠিক ই কইলাম, “ছালা গালি কি গাছে ধরে যে ঝাকি দিবা আর টুপটুপ কইর‌্যা পড়বো“?

সর্ব সাকুল্যে দেড় ঘন্টা ঘুমাইয়া কামে যাওনের সময় অনেক কষ্ট কইরা মনে কইরা বাইর করলাম পাবলিক টা ক্যাডা যে আমার সুইট ড্রীম ডারে বিটার বানাইয়া দিছে...।

ঈমানে কইতাছি, রাগ লাগলেও ভালাই লাগছে পরে। কারণ নেক্সট শোধটা আমি লমু.... টাইম মতো। তহন বুঝবো চান্দু মজা, কত ধানে কত চাইল হয়!

No comments: