Wednesday, September 13, 2006

আমি প্রেমে পড়েছি :: না না, তার নাম বলবো না!


“কাজল কালো মেয়েটি, ডাগড় ডাগড় আঁখিটি,
না না তার নাম বলবো না, নাম বলবো না...
তোমরা তাকে দেখেছো, গল্প পড়ে জেনেছো-
না না তার নাম বলবো না, নাম বলবো না...“!!

অবশেষে.... হ্যাঁ গো হ্যাঁ অবশেষে... ধুসর গোধূলি প্রেমে পড়েছে।

শুনেছি সবাই নাকি প্রেমে পড়ে, তারওপর প্রথম যারে ভালো লাগে তারে নাকি সারা জনমেও ভুলা যায় না। সত্যি বলছি, আমার প্রথম যে কারে ভালো লেগেছিল, তার কথা আমার কিছুই মনে নেই। আমার ভালো লাগার সূচকটা আবার খুব তারাতারি ই এদিক সেদিক ঘুরে যায় কিনা...

তবে যতদূর পর্যন্ত যেতে পাড়ি, যার কথা মনে পড়ে, আমি শিওর তার আগেও বেশ কয়েকজন কে ভালো লেগেছিল আমার। এতে “আমার কি দোষ বলো, যারে দেখি লাগে ভালো...“

নিজের প্রেমে পড়ার কথা স্বীকার করতেই হাঁটু পানিতে নামলাম। অন্যভাবে বলতে গেলে,“আমি যে প্রেমে পড়েছি...“, এই কথাটা ঢোল-ঢাক্কর বাজিয়ে, সবার কর্ণ-কূহরে প্রবিষ্ট করানোই আপাতঃ সাধ, সেইসাথে অনেক দিনের সুপ্ত বাসনাও!

বলছিলাম আমার প্রেমে পড়ার কথা।

আমি তাকে সামনা সামনি দেখিনি কখনো। দেখেছি দেখার যন্ত্রের মাধ্যমে (ধন্যবাদ আধুনিক বিজ্ঞান), তার স্পর্শ আমি কখনো পাই নি, বুঝিনি ফিসফিস করে কথা বলার সময় তার মুখের বাতাসে আমার কানের অনুভূতি। অথচ তার কথা আমি শুনেছি, অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রবন যন্ত্রকে তার প্রতিটা বাচন ভঙি আমার কানে পৌঁছে দেবার জন্য।


শারীরিক আবেদনে (মূখশ্রী প্রভৃতিতে) হয়তো তার সমসাময়িক বা অনূজদের সাথে কোন তুলনায় আনা যাবে না, কিন্ত শী ইজ দ্যা ওয়ান...

গায়ের রং ও আহামরি এমন কিছু না যে ঘরে বৈদ্যুতিক বাতি লাগবে না, কিন্ত আমি জানি ওর আছে দ্রৌপদী সৌন্দর্য যা আসে কারো ভেতরের ও ভেতর থেকে।

হাসি টা ওর জগত ভুলানো। শুধু আমি না, যে দেখেছে সেই ভুলেছে, আমি ওভার শিওর।

আমি সেই মেয়েটির প্রেমে পড়েছি, একেবারে আড়-গোড় ভেঙে! আমি জানি এ প্রেমের কোন গতি নেই, নেই কোন গন্তব্য। তারপর ও আমি বলবো আমি তার প্রেমে পড়েছি... একেবারে ঠিক ফাঁসির মঞ্চে উঠার আগ পর্যন্ত বলে যাবো!

কিন্ত কে সে??

আপনারা (অনেকেই) তাকে দেখেছেন, অনেকেই তার কথা শুনেছেন, অনেকেই তার গল্প পড়েছেন... তবুও জানেন না কে সে! হাউ ফানি!!

শিরোনামে তার নাম বলবোনা বলে উললেখ থাকলেও ঠিক করেছি এ যাত্রা তার নাম টা বলেই দেব।


জানে জিগার, অন্দর কি মালেকীন, হৃদয়ের সালেকীন (এর মানে জানি না), হুসনে কইলজা, কিডনী কি টুকরা, হাজারো হার্টের রোগীর হৃদয়ের ধুকধুক বন্ধ করে দেয়া, সেই জন হলো মাধুরী দীক্ষিত।

মন“ সিনেমাতে একটা পাক্কু তোতলা পিচ্চির কথা মনে আছে হয়তো অনেকের। ঐযে দৌড়ে এসে টিচার কে বলছিল, টিচার, টিচার আমাকেও ষোল বছরের বানিয়ে দাও না, তারপর আমি ও প্রেম করবো“।

টিচার খুব উতসাহ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “প্রেম কব্বা! তা কার শাতে“?

উতসাহী পিচ্চির চোখ বুজানো উত্তর ছিল, “মমমমমাধুরী জ্বি সে“।

হ্যাঁ সেই মাধুরী, যে “দিল ধাক ধাক করনে লাগা...“ গানটা দিয়ে আমার দিলে মোচড়া মেরে দিয়েছিল। সেই মাধুরী যে “না জানি কাহা দিল খেঁা গেয়া...“ বলে জগত ভোলানো হাসি দিয়ে চলে যাবার পর আমি আর আমার দিল খঁুঝে পাইনি। আবিষ্কার করেছি ইয়া ভুসমা সাইজের একটা পাত্থর সেখানে।

সেই মাধুরীর কথা বলছি, যে “দেখা হ্যায় পেহেলি বার...“ বলে আমার চোখেতে হাজার তারার পাহাড় এনে দিয়েছিল।

আমি সেই মাধুরীর প্রেমে এখনো হাবুডুবু খাই... খাই আর ভাসি... ভাসি আর খাই.... আহারে আমার মাধুরী!

No comments: