Friday, September 29, 2006

সে দিনগুলো...

গ্রুপ বিভাজনের পর বেশ কয়েকদিন ক্লাশ কামাই দিয়ে নিজের আসন খুজে পেলাম শেষ বেনচের ঠিক আগের বেনচের এক কোনায়। তিন জনের বসার জায়গা, মাঝের জন সুজার সাথে আগেই পরিচয় হয়েছে সেই প্রথম দিন থেকে, গ্রুপ বিভাজনের আগেই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই আরো বেশ কয়েকজনের সাথে সম্পর্ক জমে গেলো। ভালোই চলছিল দিনগুলো।

একদিন সুশীল স্যারের ক্লাশে পিছন থেকে একজন পিঠে ধুপ-ধাপ কিল বসাচ্ছে। পিছনে তাকিয়ে দেখলাম নতুন পাবলিক, মানে এতদিনে এই এলো প্রথম। আমি ক্লাশ কামাইয়ের দাদা হলে সে কামাইয়ের পরদাদা। আমাকে ফিরে তাকাতেই সাদা দাঁত গুলো বের করে হাসি দিয়ে হাত গুটিয়ে পিছনে চলে যায়। আমিও কিছু না বলে স্যারের বকবক শুনি।

একটু পর আবারো ধুপাধপ কিল। নয়া পোলা, কান্ধে উইঠা বইলে তো সমস্যা! এইবার আমি একটু বিরক্ত হয়েই তাকাই। এইবারো সেই একই হাসি। না হাসলে অবশ্য ওকে ট্রেস করা মুশকিল হয়ে পড়তো। হাসে বলেই দাঁত গুলো দেখা যায়, আর দাঁত গুলো দেখা যায় বলেই ওর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়। এইবার বলে, “পিছে তাকাস কেন, সামনে তাকা”।

প্রথম দেখায় ক্লাশ মেট হোক আর নব্য-শশুর বাড়ির দারোয়ানই হোক এটলিস্ট “তুমি” সম্বোধন করার অলিখিত একটা নিয়ম আছে। খেয়াল করলাম এখানে কোনই ভদ্রতার বালাই নেই। আমিও যথারীতি এক ডিগ্রী সরেস উত্তর দিলাম, “শালা ভুশা কিলাস কেন, এইটা তোর বাপের শরীর”?

ভেবেছিলাম একটা সশস্ত্র প্রতিরোধ আসবে। কিন্তু কিছুই আসলো না। ক্লাশ শেষের ব্রেকে ওকে দেখতে পেলাম না কোথাও। “শালা ভাগা দিছে”- যেইনা সুজা বলছে, দেখি গ্রুপ ৪ এর দিক থেকে দৌড়ে এদিকে আসছে ভুশা মিয়া।

"ভাগে নাইরে, ওই দেখ আইতাছে"....!

No comments: