Thursday, June 28, 2007

না চাহিলে যারে পাওয়া যায়

আমি তোমার দূরে থাকি, কাছে আসবো বলেআমি তোমার কাছে আসিনা, চলে যেতে হবে বলেতোমাকে ভালোবাসিনা, তোমাকে হারাবার ভয়ে...

একটা সময় খুব ভাবতাম 'আধো বালি, আধো পানি'র একটা স্বপ্নের কথা। কী করে যেনো সেই স্বপ্নচিন্তাটা ভুলে বসে আছি। এখন আর ওসব চিন্তা ভাবায় না আমায়। একটু ভুল বললাম কি? হুম, হবে হয়তো। আসলে বলা উচিত, এখন অবশ্য ভাবতে ভালো লাগে না। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়, অঘটনকে না, বরং যা ঘটেছে কিংবা যা ঘটতে পারতো!

সবুজ প্যাকেটে মোড়া নীল-আকাশ! একটা একটা করে মায়ার সূতোয় বোনা বিশাল আকাশটায় আমার স্পর্শ দিয়ে খুব ছোট্ট একটা প্যাকেটে পুরে দেয়া কি দু:সাধ্য ছিলো কখনোই! আচ্ছা ওইযে ভেজা সিঁড়িটা। ঝুম বৃষ্টিতে চোখের পাতা মুদলেই যে ছাঁট এসে লাগে, ওখানটার কথা বলি? আমার যখন একুশ হলো, তখনকার 'হঠাত হারিয়ে যাওয়ার' কথা। চোখের সামনে দৃশ্যপটের ধীরগতিতে বদলে যাওয়ার কথাও বলা যায়। আচ্ছা হাউ এবাউট, সকালে উঠেই চলে গিয়েছিলাম যে, সেই গল্প!

আমার পেটে তো কথা পঁচে না। কিন্তু মেমোরী এতো বিট্রে করছে কেন? আলোক বর্ষ দূরত্বের তারাদের একে একে সরে যাবার আগের সব কিছুই নিকষ অন্ধকারে। উমমম, হ্যাঁ, আচ্ছা সেই যে রাতের বেলায় ল্যাপটপ ছেড়ে না চাহিলে যারে পাওয়া যায় শোনা, একেকটা ইচিঠিতে চাঁদের আগমন ঘটতো গগনে। একেকটা জুনের জন্য কেমন কেমন করে যেন প্রতীক্ষায় থাকা- যদিবা এই জুনই সেই জুন হয়! কিংবা সাবওয়েতে স্যান্ডউইচ সাপ্লাইয়ে শশ্রুমন্ডিত কোন সাধুর উপস্থিতি শেষে বাসায় ফিরে 'ধপাস'। নিজের বিছানা ছেড়ে যাবার কষ্টে অঝোর কান্না। উঁহু, সেইসব ও বলতে ইচ্ছে করছে না।
ঐযে একবার কাছে আসার খুব আগ্রহ হলো। বিশাল জলরাশি পাড় হবার সাহস ধরে গেলো। শেষে আর হলোই না, আচ্ছা সেই পাগলামীটা বাস্তব হলে কি হতো!কোথাও বেড়াতে গিয়ে ফিসফিসিয়ে কথা বলার সেই যে ক্ষণটা, ওটা নিয়ে বলি বরং! মাউথঅর্গানটার সুর কানের ভেতর দিয়ে গিয়ে মস্তিষ্কে হাতুড়ি পেটা করেছিল যে, কানের সামনে সেই বেসুরো করে ফুঁ দেয়ার ঘটনাটা বলি!

কতো কিছুই বলতে ইচ্ছে হয়, লিখতে ইচ্ছে করে। তবু লেখা হয় না, শোনা হয় না, হিসাব করা হয় না এখন আর। কতদূর এলাম, কতদূর যাবার বাকি- এই ভাবনা আর ভাবতে হয় না এখন। মেইজটা বুঝি শাফলড হয়েই গেলো তবে! পৃথিবীটা ছোট হতে হতেও ক্রমশ: প্রসারিত হওয়া শুরু করলো গ্যালাক্সির অনুপাতে। অনেক হিসাব, অনেক নিকাশ সেখানে লুকায়িত। এখানে তাত্ত্বিক ভাবে অনেক ভ্যালু উপেক্ষা করা গেলেও ফলায়তভাবে করা গেলো না।

ফিরতে বড় ইচ্ছে করে, ফেরারী সেই পথটি ধরে-কিন্তু লক্ষ্য বিন্দু বুঝি কক্ষচ্যুত। শত বারণের চোখ রাঙানী শেষেও কথা বলা থেমে থাকে না, ভাবনা থেমে থাকে না, দিন গুলোর কথা ভুলে যাওয়া হয় না, দেখার ইচ্ছাটা উবে চলে যায় না!

নিজের অজান্তেই হিসাব মেলানো হয়ে যায় ২৩ + ৬ - ১৭ = ১২

ছ'বছর আগের চমতকার করে শুরু হওয়া একটা দিনের মতো সেই ভাবনা গুলো আজোবধি জেগে আছে, কেবল ওপরে একটা ধূলোর ডিবি জমে গেছে। সেই ডিবির ওপরে লালসালু উড়ছে, বিপদের আভাস দিতে না বরং জানান দিতে যে জায়গাটা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ!

কতো কিছুই বলার ছিলো, থাকুক নাহয় সব তোলা-আজ শুধু বলি - শুভ হোক এই পথচলা...

No comments: