গুরুচন্ডালী - ০০৮
নেট এর যন্ত্রণা নাকি উইন্ডোজ বিশ্ঠার ভারে আমার কম্পুখানাই গেছে, সেইটা এখনো ধরতে পারতেছি না। কোনো এক পেজে টিবি দিয়া এক পশলা ঘুমের শট মাইরা উইঠা আবার দ্বিতীয় টিবি দেই। এমনেই চলতাছে, চলবো কতোদিন সেইটাও বুঝতে পারতাছি না।
কালকে রাতে তাইরে নাইরে নাই করে ঘরে ফিরে এমএসএনে লগ ইন করছি ব্যাক এন্ডে। ফ্রন্ট এন্ডে চিন্তা করতেছিলাম নানান গ্যাড়াকলে পইড়া অনেকদিন ছাই-ভষ্ম কিছু লেখা হইতেছে না। কী লেখা যায় এই নিয়া যখন ভাবতেছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তে ব্লগার্টুনিস্ট সুজন্দা দিলো টোকা। কয়, 'সচলায়তনের ব্যানরে ঐ ব্যাটা এমনে হা কইরা রইছে ক্যান'!
সুজন্দার ঐ কথা শুইনা উড়মান আমি পড়লাম টুক্কুশ কইরা মাটিতে পইড়ে গেলাম। "কন কী দাদা, আপনে বানান নাই তাইলে! চামে চামে দিলাম আমার দোস্তের ঘাড়ে দোষ চাপাইয়া। এই ব্যাটাই নিশ্চই বানাইছে খামখাম টাইপের এই মুখ!"
শুনে সুজন্দা বলে, টু মুখপোড়াস আর বেইকিং পটেটো হোয়াইল সচলায়তন ইজ অন ফায়ার- এইটা ট্রান্সলেশন করতে! পরীক্ষায় কমন পড়ার খুশিতে জাম্প দিয়া মাটিতে নাইমা আসি। তখন আবার দেখি আড্ডাবাজ খোঁচায়। আমি কই, দাদা কোবতে লেখি! বলে শোনাও। শোনাইলাম। সুজন্দা বলে, বাকীটা কই? আমি কই লেখতাছি। কয় লেইখা ব্লগে দিয়া দ্যাও। আমি কই, জো আজ্ঞা!
তো সেই থাইকাই নিদারুণ চেষ্টা করতেছি আমার কোবতেখানা জনগণের সমীপে প্রকাশ করার। কিন্তু পরে খেয়াল হইলো পান্ডুলিপি তো নাই আমার, ব্লগে দিমু ক্যামনে! তখন খিয়াল হইলো, হিমু প্রমুখ দূর্মুখেরা আমাদের কান ঝালাপালা করে নানান পদের গান অডিও করে খাওয়ায়। আমি কেনো আমার কোবতেকে নয়াস্টাইলে ভিডিও আকারে উপস্থাপন করবো না!
ইউটিউবের হাতে পায়ে ধইরা ৩১ মেগার ভিডিও খানা আপলোডাইলাম ঠিকই মাগার দেখতে আমি নিজেই পাই না। ক্যান পাইনা সেই গল্পই প্রথমে করতেছিলাম। চাক্কা ঘুরে তো ঘুরেই। (কোনো সুহৃদয় ব্যক্তি বিশাল ফাইলরে পুচকী বানায়া ইউটিউবে দেওয়া পন্থা জানাইলে বাধিত হইতাম!) ইস্নিপসে তুলতে গেলাম, কয় সন্দিহান ব্যাপার স্যাপার। আমার নিজের কম্পুতে করা ভিডিও ক্যামনে সন্দিহান হয়, বুঝলাম না!
দেখতে পারা যাক আর না যাক ভিডিওখান শেয়ার করলাম আপনাদের সঙ্গে। যেহেতু কোবতেখান আমি ল্যাখছি, তাই জগদ্বিখ্যাত হওয়ার চান্স অনেক বেশি। কেউ অটোগ্রাফ নিতে চাইলে এখনই চাইতে পারেন। পরে আমি বিখ্যাত হইয়া গেলে কৈলাম আর চান্স পাইবেন না, এই আমি কয়ে দিনু!
No comments:
Post a Comment