Wednesday, October 08, 2008

গুরুচন্ডালী - ০১০

তালাচাবি মার্কায় ভোট দিনঃ

না, কোনো নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারের দায়িত্ব পাইনি। খুব প্রিয় একজন মেম্বারের কথা মনে পড়ছে এই ক্ষণে। তিনি আর কেউ নন, সচলায়তন ইউনিয়ন পরিষদের মান্যবর গমচোর শালিখেলাপি মেম্বর "দ্রোহী"। অনেকদিন ধরে লা-পাত্তা তিনি। নানাজনে নানা কথা বলে এ নিয়ে। আমি অবশ্য বিশ্বাস করি, সকল স্ত্রীকুলের অগ্নিচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি পত্রপাঠ সচলায়তনে যোগ দিয়ে আমাদের বাধিত করবেন। বলাই বাহুল্য, মেম্বরের শোকে চেয়ারম্যান কঠিন জ্বর-কাশিতে ভুগছেন আর ছড়া-টড়া লিখে যাচ্ছেন। এটা অবশ্য অসমর্থিত দুষ্টলোক প্রদত্ত তথ্য! হাসি

ঈদ ও চন্দন দ্বীপের রাজকন্যাঃ

গেলো সোমবার রাতে এক ফোঁটাও ঘুম হয়নি। ঘুমিয়ে পড়লে অন্য বারের মতো এবারো ঈদের নামায থাকতো শিঁকেয় তোলা হয়ে। সময়মতো পাঞ্জাবি গায়ে চড়িয়ে, তাতে সুগন্ধি -টুগন্ধি মেখে, নামায শেষে জনগণের সঙ্গে জাতাজাতি-জাবড়াজাবড়ি-পাচড়াপাচড়ি করে বাসে, ট্রামে, চেয়ারে, সোফায় ঢুলঢুল করে অবশেষে নিজের বিছানায় এসে ধপাশ! পরদিন এবং তার পরদিন সুযোগ এসেছিলো হাতের রিমোট নেড়ে এনটিভি-চ্যানেল আই-এটিন বাংলা পরিদর্শনের। অনেক দর্শনীয় জিনিষের মাঝে যা মন কাড়লো তা হলো নায়ক ওয়াসিম ভাই অভিনীত চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা। প্রিয় নায়িকা অঞ্জু ঘোষ আর ইলিয়াস কাঞ্চনের কী আরেকটা ছবি ছিলো, নামটা মনে নেই। খালি অপেক্ষা করছিলাম কখন পর্দায় অঞ্জু ঘোষকে দেখা যাবে, আর তাঁর ডায়ালগ নিঃসৃত নিঃশ্বাসের ফোঁসফোঁস শব্দে কান খাড়া হয়ে যাবে! ওখানে আবার পোয়াবারো হিসেবে লাস্যময়ী নূতনও হাজির হয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। চোখ টিপি

... এবং দূরালাপনীঃ

বৃহষ্পতিবার খুব সকালে ঘুম ভেঙে গেলো। একটু বুড়িয়ে গেছি বুঝতে পারি যখন দেখি শত চেষ্টায়ও আর ভেঙে যাওয়া ঘুম আর জোড়া লাগাতে পারিনা। কী আর করা, ফোন টেপাটেপি শুরু করলাম। উদ্দেশ্য ঢাকায় ফোন লাগানো। এক বন্ধুর নাম্বারে ঘুরাচ্ছি তো ঘুরাচ্ছিই। কী এক আজব সাউন্ড শোনায়, বিজি টোন নাকি লাইনই ঢুকে না- আওয়াজ শুনে বোঝার উপায় নেই। পাক্কা দেড় ঘন্টা ট্রাই করলাম একবার বাসার ফোনে আরেকবার মোবাইল ফোনে পর্যায়ক্রমে। দেড় ঘন্টা পর ত্যাক্ত হয়ে মাথার পরে কম্বল মুড়ি দেওয়ার আগে মোবাইল খুলে নাম্বারটা যাচাই করতে গিয়ে দেখি দুইটা নাম্বারেরই তিন আর চার নম্বর সংখ্যাটা জায়গা বদল করে আছে। মানে দেড়টা ঘন্টা হুদাই জলে গেলো, ঘুমানোর চেষ্টায় শুয়ে শুয়ে হাতিঘোড়া মারলেও এতোক্ষণ কাম হইতো!

এর আগে কথা হয় বাড়িতে। এটা রুটিন। প্রতি ঈদের সকালেই। প্রতিবারই ফোন করলে শুনি এইমাত্র নামায শেষ করে ঘরে ফিরলেন আব্বা। কথাহয় সাধারণ, এটাসেটা নিয়ে। এরপরের ঘটনাটা ঘটে খুব দ্রুত। আব্বার হাত থেকে ফোন চলে যায় মায়ের কাছে। প্রথম প্রথম এই পর্যায়ে দশ মার্কের ক্যুইজ দিতে হতো! কী রান্না হলো, কী খেয়েছি, কেমনে রেঁধেছি- এইসব! সাথে থাকতো ডেজার্ট হিসেবে হাউমাউ কান্না। গত কয়েকবছর ধরে এই সুযোগটা ভদ্রমহিলা পাচ্ছেন না। ফোন হাতবদল হওয়ার সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় আমার হাউকাউ। ফোন কানে তুলেই জননী তব্দা খেয়ে যান, "পোলা কি সামনে ইলেকশনে খাড়াইবো নাকি!" আধা মিনিটের মতো তুমুল হৈচৈ করে পরে জিজ্ঞেস করি, কী রান্না হলো, কে কে এলো, কে কে আসবে, ক্যামনে কী!
বেচারী আমার প্রশ্ন, পাতি প্রশ্ন, লেঞ্জা প্রশ্ন- এসবের জবাব দিতে দিতে হঠাৎ বলে ওঠেন, "চুলায় কী জানি পুড়লো রে!" আমিও চামে দিয়া বামে কেটে পড়ি।

... এবং তুমি

এবং তোমাকে বলার আপাততঃ এখানে কিছুই নেই। তুমি সচলায়তন পড়বে না, পড়লেও এই লেখার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝবে না! তারচেয়ে আগে তো তোমাকে খুঁজে বের করি, তারপর নাহয় কথার ঝাঁপি খুলে নিয়ে বসা যাবে।

No comments: