Saturday, October 28, 2006

বাংলা খান, বাংলা পড়েন, বাংলায় ঘুমান, বাংলায় স্বপ্ন দেখেন, লেখেন কেবল ইউনিকোডে :: সৌজন্যে - ইউনিকোড



ইউনিকোড নিয়ে, ইউনিকোডে লেখা নিয়ে মহাতুলকালাম কান্ড। কেমনে লেখবো, কী দিয়ে লেখবো, কেন লেখবো, প্রয়োজনীয় লিংক ই বা পাবো কই- এই নিয়ে চুলহীন অনেকেও ছেড়ার জন্য মাথায় অনবরত হাত দিয়ে যাচ্ছেন। বিজ্ঞজনের কাছে “এফ১“ চেয়ে অনেকে অলরেডী পোস্টিয়েও ফেলেছেন। এই কষ্টকর, ব্যারাছ্যারা অবস্থা দেখে ভাবলাম, অভিজ্ঞজন না হই, সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবেই নাহয় একটা “জ্ঞানদান পোস্ট“ নামিয়ে দেই। নিজেরও একটা পোস্ট বাড়লো, আবার ফেলাডিং ও হলো না। যাত্রাও দেখলাম, আবার কলাও বেচে ফেললাম!

তো যা বলছিলাম- কেমনে লেখবো ইউনিকোড?

উপায় জলবত তরলং। সম্পূরক প্রশ্ন করি উত্তর দেবার আগে। কেমনে লেখতে চান, অনলাইনে নাকি অফলাইনে?
অনলাইনে লেখতে চাইলে কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড-ইনস্টলেশনের দরকার নাই। এতে করে হয়তো আমার মতো আনাড়ীরা “অই মিয়া ভাইরাস দিলা ক্যান হালায়“ টাইপের বকা খাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে পারবেন।

এক্ষেত্রে হাসিন ভাইয়ের টুলসটা কাজে আসতে পারে।
এছাড়াও কাজে লাগতে পারে মাহবুব মুর্শেদ এবং অরূপের যৌথ উদ্দোগের কনভার্টারটা

যদি অফলাইনে লেখতে চান যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে- তাহলে আপনাকে কষ্ট করে একটা সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং পরে ইনস্টল করতে হবে।
সেক্ষেত্রে অভ্র কী-বোর্ড হতে পারে ভালো একটা চয়েস। অভ্র ডাউনলোড এবং ইনস্টলেশন শেষ হলে হাতের কাছে উইন্ডোজের সিডিটা রেডী (সিডি রমে ঢুকিয়ে) রাখুন।

“কন্ট্রোল প্যানেলে --- রিজিওনাল সেটিংস --- ল্যাঙ্গুয়েজ“ ট্যাবে গিয়ে (ইনক্লুডিং থাই, ইংরেজীতে কী লিখা আছে জানি না, আমার এখানে অন্য ভাষায় দেখছি) চেকবক্স দুটো টিক দিয়ে “অ্যাপ্লাই“ বাটনে ক্লিক করে পরে ও.কে. চেপে বেরিয়ে আসুন। পিসি রিস্টার্ট খাবে, ব্যাপার না... লেট ইট বি!

রি-স্টার্ট খাওয়ার পর এখন আপনার পিসি যে স্টেজে আছে সেটাকেই ধরে নিতে পারেণ “ইউনিকোড অ্যানাবেলড“ স্টেজ। মনিটরের উপরের দিকে (অভ্র কী-বোর্ডের) একটা বার দেখতে পাবেন। সেখানে “সিস্টেম ডিফলট“ লেখাটায় চাপ দিলে একবার “বাংলা“ একবার “সিস্টেম ডিফলট“ লেখা আসবে। তার পাশে সেটিংসে ক্লিক করলে দেখা যাবে একটা লিস্ট শো করবে ওখান থেকে “ইউনিবিজয়“, “ফোনেটিক“ প্রভৃতি অপশন নেয়া যাবে লে-আউটের জন্য।

ইউনিবিজয়, সাধারণ বিজয় লেআউটের মতোই। যারা বিজয়ে পারদর্শী তারা চোখ বন্ধ করে লেখা শুরু করতে পারেণ। তবে যারা সামহোয়্যারে ফোনেটিকে লেখেন, তাদের প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা লাগবে, কিন্ত সেটা কেটে যাবে আস্তে আস্তে।

কেন ইউনিকোডে লেখবো- এরকম এ্যাটাকিং প্রশ্নটা অনেকের মনেই আছে, আমারো আছে। আমি আমার পয়েন্টটা শেয়ার করি। আমি খুব জরুরী কিছু ওয়ার্ডে লিখতে চাই, এখন আমার কাছে বিজয় নেই। ম্যানেজ করার ও উপায় নেই, অনলাইনেও সহজলভ্য না, আমি সামহোয়্যারে লিখতে চাইছি না সেটা। এখন আমি কী করবো...?

আচ্ছা ধরাযাক যাইহোক লিখলাম কোনভাবে। এখন এটা আমি কৌশিক ভাইকে পাঠাবো, কারণ তার জন্যও এটা ততোটাই জরুরী যতোটা আমার জন্য। উপরন্তু তার এসেসমেন্টের দরকার আছে লেখাটায়। এখন তার পিসিতে বিজয় ইনস্টল করা নেই। সে আমার লেখাটা পড়বে কী করে!

এমএসএন বা ইয়াহু তে ’জরিনার’ সাথে চ্যাট করার সময় ইংরেজিতে লিখতে হয়। অনেক সময় শখ হয়, আহারে যদি বাংলা অক্ষরে লিখতে পারতাম, “ওগো জরিণা বাগানে হাটিতেছে খাসি, তুমি জানো না আমি তোমায় কত্তো ভালোবাসি“!

এইসব সমস্যার সবগুলোরই সমাধান হয়ে যায় ইউনিকোড থাকলে। এটলিস্ট লেখা গুলো পড়ার জন্য খুব সহজেই ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করে নেয়া যায়। ইউনিকোডের সবচাইতে বড়দিক হলো এর সহজলভ্যতা। কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কপিরাইট করা সফটওয়্যারের উপর নির্ভর করতে হয় না।

No comments: