Saturday, March 24, 2007

বাতিঘর সকাশে চরৈবতি

আচ্ছা ঐযে দূরে একটা চূড়া দেখা যায়, ওপরে খুব সম্ভবত একটা বাতি- ওটার নাম কি?
ঐটা লাইটহাউজ, বাতিঘর। উপকূলে জাহাজীদের অভিভাবক। কোন এক ঝড়ের রাতে যখন সমূদ্্র উতলা-রাক্ষসী রূপ ধারণ করে, তখন জাহাজীদের একমাত্র আশ্রয় খুব সম্ভবত এই "বাতিঘর"।

দূরের জাহাজগুলো বাতিঘরের ঠিকরে পড়া আলো দেখে পথ খুঁজে নেয়, এগিয়ে চলে গন্তব্যে, নির্বিঘ্ণে নির্ভার হয়ে। বাতিঘর থেকে যায় তাঁর আপন জায়গায়, অন্য জাহাজকে পথ দেখানোর নিমিত্তে। বাতিঘর কিন্ত নিজেও জানে না যে সে কতগুলো জাহাজকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছতে সাহায্য করেছে কোন এক ঝড়ো তিমিরে। সে শুধু জানে আলো বিলাতে... বিলিয়ে যায় সে, কোন শর্ত ছাড়াই!

অরণ্যকেশী, স্বল্প পরিচয়ের কোন এক দ্্রৌপদীকে একনিমিষেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তব জীবনের বাতিঘরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রেই দ্্বিতীয়বার ভাবা যায় না। কিছু কিছু ব্যাপার থাকে, সিদ্ধান্ত নিতে হয় তড়িৎ- কোন সমীকরণ মেনে হয় না তা। এই সিদ্ধান্তটা এরকমই এক অংকবহির্ভূত সমীকরণ, যার অনুসরণে গণিতের মার্কায় "সর্বই" কাটা গেলেও আত্মউপলব্ধির মুকুটে আরো একটা সফল পালকের সংযুক্তি ঘটে।

সেই আত্মোপলব্ধির মাত্রাটা বেড়ে যায় যখন বুঝা যায় পরাজিত মেঘের দলে আরো একটা খন্ড মেঘ এসে আপন করে নেয় সবকিছু, বাতিঘরের আলো অনুসরণকারী আরো একটা জাহাজের সংখ্যা বাড়ে...

সিদ্ধান্তের বাস্ত ব রূপায়নে পু-ঝিকঝিক না হলেও খুব শান্ত ভাবে অথচ ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে যায় দ্্রুতগামী পাত-গাড়ী, রাস্তায় জমে থাকা ঝরে যাওয়া পাতার ওপর থেকে দৃষ্টি চলে যায় কৃত্রিম বরফ দিয়ে বানানো "স্কেটিঙের মঞ্চে" হৈ হুল্লায় মেতে থাকা মেশিনরূপী মানুষের পানে।

লেখাটার সূত্র : পাওয়া যাবে এখানে (1ম থেকে 3য় খন্ড)

No comments: